খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২৬ জুন, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক আইজিপি বেনজিরের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে

গ্রাম্য বিরোধ,জাজিরায় এক মাঠে ঈদের দুই জামাত

গেজেট ডেস্ক

গ্রামের বিরোধের জের ধরে শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের দড়িকান্দি আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলাদা দুটি প্যান্ডেল করে ঈদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পালেরচর ইউনিয়নের হাওলাদার ও দড়ি বংশের লোকজনের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এই দুই সমাজের মানুষের মধ্যে আলাদা মতবাদ থাকায় গত ঈদুল ফিতর থেকে একই মাঠে দুটি প্যান্ডেল করে আলাদা জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ঈদুল আযহার নামাজ হাওলাদার বংশের লোকজন সকাল সাড়ে ৬ টায় ও দড়ি বংশের লোকজন সকাল ৭ টায় আদায় করেছেন। তবে দুই পক্ষ আলাদা ভাবে নামাজ পড়লেও একে অপরের প্রতি কোনো অভিযোগ করছেন না। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা করে মন্তব্য করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, দুই বংশের হাতে গোনা কয়েকজনের মতবিরোধের কারণে ঈদের নামাজের মত সম্প্রীতির অনুষ্ঠানে এমন বিভক্তের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে হাওলাদার বংশের ও দড়ি বংশের মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু সাইদ ও মাওলানা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, আমরা মুসলমান হিসেবে ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য রক্ষার বিষয়ে সচেতন না থাকলে আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি না হলেও আমাদের ধর্ম সম্পর্কে অন্য ধর্মের মানুষ ভুল বার্তা পাবে। তাই বংশগত বিভেদ থাকলে তা সমাধান করে নামাজের মত বিষয়ে একাত্মতা রাখা জরুরি।

দড়ি বংশের মতিউর রহমান দড়ি বলেন, গত রমাজনের ঈদ থেকেই হাওলাদাররা আলাদাভাবে নামাজ পড়া শুরু করে। তার ধারাবাহিকতায় এবারও তারা আলাদা প্যান্ডেলে নামাজ আদায় করেছেন। যদিও আমাদের মুরুব্বীরা সারাজীবন অন্তত ঈদের নামাজ এক জামায়াতে আদায় করে এসেছেন। তবে তাদের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।

হাওলাদার বংশের শাহজাহান হাওলাদার বলেন, গ্রামে দড়ি ও হাওলাদার বংশের লোকজনের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় গত ঈদুল ফিতর থেকেই আলাদা জামায়াতে নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এর আগে আমরা এক সঙ্গেই ঈদের নামাজ আদায় করতাম। দড়ি বংশের লোকজন আমাদের বলেছিল, তাদের সঙ্গে নামাজ পড়তে। কিন্তু আমাদের লোকজন না মানায় ভিন্ন প্যান্ডেলে নামাজ আদায় করেছি। দড়ি বংশের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।

জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জাজিরার সকল স্থানে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। দড়ি কান্দির বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুই জানি না।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!